মেহেদী এটি মূলত আরবি( ﻣَﻬْﺪِﻯّ ) শব্দের পরবর্তিত রূপ।
আসল উচ্চারণ, ' মাহদী ।' অর্থ, হেদায়েত প্রাপ্ত, পথের
সন্ধান প্রাপ্ত, সুপথ প্রাপ্ত।
আর
হাসান এটিও মূলত আরবি (ﺣَﺴَﻦْ ) শব্দ। অর্থ, সুন্দর, সুদর্শন,
ভালো, চমৎকার, শুভ, মনোরম।
মাহদী হাসান ( ﻣَﻬْﺪِﻯّ ﺣَﺴَﻦْ ) একত্রে করলে অর্থ দাঁড়ায়,
"হেদায়েত প্রাপ্ত/ পথের সন্ধান প্রাপ্ত/ সুপথ প্রাপ্ত
সুদর্শন ব্যক্তি।"
শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪
মেহেদী হাসান নামের অর্থ
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৪
দীর্ঘায়ু পেতে কোমরকে রাখতে হবে স্বাভাবিক
দীর্ঘায়ু হতে চান সবাই। এ জন্য অনেকে পরিমিত
খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলেন এবং ব্যায়াম করেন। দীর্ঘ
জীবনের রহস্য জানতে বিশ্বের
নানা প্রান্তে চলছে গবেষণা। অকাল মৃত্যুর জন্য এখন
পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়
স্থূলতা বা মুটিয়ে যাওয়াকে। তবে ব্রিটেনের
গবেষকরা বলছেন, মানুষের দীর্ঘায়ুর রহস্য
লুকিয়ে আছে কোমরে। নতুন এক গবেষণায়
তারা দেখেছেন, দীর্ঘায়ু
পেতে কোমরকে রাখতে হবে স্বাভাবিক, অর্থাৎ দেহের
উচ্চতার তুলনায় কোমরের ঘের বা পরিধি হবে অর্ধেকের
কম।দীর্ঘায়ুর রহস্য কোমরে!
সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডনের গবেষকরা এই
গবেষণা চালান। চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্রিটেনের ২০ বছরের
রেকর্ডগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে এ গবেষণায়।
গবেষকরা বলছেন, ৩০ বছর বয়সী একজন পুরুষের উচ্চতা ৫ ফুট
১০ ইঞ্চি হলে তার কোমরের ঘের ৩৫ ইঞ্চির
বেশি হওয়া উচিত নয়।
তার কোমরের ঘের যদি ৪২ ইঞ্চি অর্থাৎ উচ্চতার ৬০
শতাংশ হয় তবে তার আয়ু কমবে ১ দশমিক ৭ বছর।
অন্যদিকে ৩০ বছর বয়সী একজন নারীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪
ইঞ্চি হলে তার কোমরের ঘের এর অর্ধেক (৩২ ইঞ্চি)
না হয়ে ৩৮ ইঞ্চি (উচ্চতার তুলনায় ৬০ শতাংশ) হলে তার
আয়ু কমবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ৩০ বছর বয়সী গড় উচ্চতার
একজন পুরুষের কোমর ৫৬ ইঞ্চি হলে আয়ু কমবে ২০ দশমিক ২
বছর। অন্যদিকে একই বয়সের একজন নারীর কোমর ৫১
ইঞ্চি হলে তার মৃত্যু হতে পারে স্বাভাবিকর চেয়ে ১০
দশমিক ৬ বছর আগে।
গবেষক ড. মার্গারেট আশওয়েল বলেন, তাদের গবেষণার
তথ্য এতই যুক্তিসঙ্গত যে,
বিশ্বে চিকিৎসাক্ষেত্রে এগুলো ভিত্তি হিসেবে বিবেচ
হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪
আধকপালি মাথাব্যথা:
মাথাধরা। আধকপালি। মিগ্রেন বলে জানি আমরা।
কী সেসব কারণ? মিগ্রেনের ঘোড়া টিপে যেসব তর্জনী,
এদের চেনা চাই।
এমন মাথাধরার কারণ হতে পারে অফিসের বসও, যা কিছু
স্ট্রেসকে উসকে দেয়।
তাই মানুষকে টেনশন-প্রবণ করে তোলে। রাগী বস
হতে পারে টেনশনের কারণ।
এর কারণ স্পষ্ট নয়, কেমন করে তা ঘটে তাও স্পষ্ট নয়।
মগজে স্নায়ুপথের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়? যেসব
স্নায়ুপথ বেদনাবহন করে,
এরা কি হয়ে পড়ে বেশি স্পর্শকাতর? মগজের
মধ্যে পরিবর্তন এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?
উষ্ণ আবহাওয়া। তাপমাত্রা যখন বাড়তে থাকে, তখন
মিগ্রেন হওয়া বা প্রচণ্ড মাথাধরা হওয়ার
আশঙ্কা বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায়
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রতি ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ,
মানে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয় মিগ্রেনের ঝুঁকি। বৃষ্টির
আগে আগে, পারদমান চাপ নেমে যাওয়া, মিগ্রেন নয় এমন
মাথাধরা বাড়তে পারে।
কড়া সুগন্ধি। কড়া গন্ধ, এমনকি সুগন্ধ—অনেকের
ক্ষেত্রে মিগ্রেন উসকে দেয়। কেন তা ঘটে তা বেশ
অস্পষ্ট, মনে হয় সেই সুবাস উদ্দীপ্ত করে স্নায়ুতন্ত্র।
দায়ী সব গন্ধ, সুগন্ধি হলো পেইন্ট, পারফিউম, কিছু কিছু
পুষ্প।
কেশবন্ধনী ইত্যাদি। কী করে চুল বাঁধেন তা-ও কিন্তু
মাথাধরার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। আঁটসাঁট
পনিটেইল করোটির সংযোজনকলা টানটান করে দেয়:
মাথা ধরে কখনো। হেডব্যান্ড, বিনুনি, খোঁপা, আঁটসাঁট
হ্যাট—মাথাধরা ঘটাতে পারে।
ব্যায়াম, শরীরচর্চা। খুব উদ্যমী ব্যায়াম
ঘটাতে পারে মাথাধরা। জগারস হেডেক হতে পারে।
হতে পারে সেক্স হেডেকও।
ত্রুটিপূর্ণ দেহভঙ্গি। খুব কঠোর শ্রম করে ঘেমে-
নেয়ে উঠে মাথা ধরাতে হবে, তা নয়। কদাকার চলনভঙ্গি,
ডেস্কে বসে মাথা-কাঁধ নুয়ে বসা—এসব
মাথা ধরাতে পারে। দেহভঙ্গির ত্রুটি কত রকমই
হতে পারে—কাঁধ ঝুঁকে থাকা, খুব নিচু বা খুব উঁচু
মনিটরে অনেকক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা, কান ও
কাঁধের মাঝখানে ফোন রেখে অনেকক্ষণ কথা বলা,
টেনশন হেডেক বারবার হলে কর্মস্থলে দেহভঙ্গি, উপবেশন
সব নজর করতে হবে।
পনির: অনেকের মিগ্রেন হয় পুরোনো পনির খেলে, যেমন
ব্লুচিজ, সেডার, সুইস। হয়তো এর অন্তর্গত টাইরামিনের
জন্য। পনির যত পুরোনো, টাইরামিন হয় তত বেশি।
রেডওয়াইন: রেডওয়াইন ও অন্যান্য অ্যালকোহল
পানীয়তে আছে টাইরামিন। মদের অন্যান্য উপকরণও
মিগ্রেন ঘটাতে পারে। মদপান মগজে রক্ত চলাচল
বাড়িয়ে দেয়, ফলাফল হতে পারে তীব্র।
প্রক্রিয়াজাত মাংস: এতে থাকতে পারে টাইরামিন। এ
ছাড়া ফুড এডিটিভ নাইট্রাইট: ঘটাতে পারে মাথাধরা।
তবে ফুড এডিটিভ মাথা ধরায় দুদিকেই, ঠিক মিগ্রেন নয়।
মিগ্রেন আধকপালি: একসঙ্গে মাথার একপাশে হয় ব্যথা।
কোনো বেলা আহার বাদ দেওয়া: Skipping Meals
একটি বদভ্যাস। ক্ষুধার কারণে মাথাধরা অনেক সময় স্পষ্ট
হয় না। কোনো বেলা আহার না করলে ক্ষুধা বোধ হওয়ার
আগেই মাথার একদিক ধরে যায়। সমস্যা হলো রক্তের
সুগারমান যায় নেমে। তবে ক্ষুধার মাথাধরা উপশমের জন্য
চকলেটবার বা মিষ্টি-মণ্ডা খাওয়া ঠিক নয়, এতে রক্তের
সুগার প্রথমে খুব তুঙ্গে উঠে পরে ধপাস
নেমে যেতে পারে অনেকটা।
০ ধূমপান: ধূমপান মাথাধরার একটি বড় কারণ। যিনি ধূমপান
করছেন, তিনিই শুধু নন, পাশের যে লোক সে ধূমপায়ীর
ছেড়ে দেওয়া ধূম সেবন করছে, যাতে রয়েছে নিকোটিন:
মগজের রক্তনালি হয় সরু, মাথা ধরে সহসা তারও। যাদের
ক্লাস্টার হেডেক হয়, তারা ধূমপান
ছেড়ে দিলে বা অন্যের সিগারেটের ধোঁয়া সেবন
এড়ালে বেশ লাভ হয়। আধকপালি প্রচণ্ড ব্যথা হয়, চোখ ও
নাকের ওপরও প্রভাব পড়ে।
ক্যাফিন: যাদের মাথাধরা বাই রয়েছে, তাদের জন্য
ক্যাফিন ব্যবহারে সতর্কতা। মাঝারি কফি পান ঠিক,
তবে বেশ কয়েক কাপ কফি মাথা ধরার জন্য যথেষ্ট। চা-
কফিতে আসক্ত যাঁরা হন, তাঁরা ছেড়ে দিলেও হঠাৎ
তাঁদের মাথা ধরে বেশ।
শনাক্ত করতে হবে ট্রিগারগুলো
কী সব জিনিস মিগ্রেন ঘটায়,
তা জানা গেলে মাথা ধরা শুরু হওয়ার আগে একে রোধ
করা সম্ভব হতে পারে। রাখা যেতে পারে ‘হেডেক
ডায়েরি’। প্রতিদিন কী কী খাবার খাই, চাপের
ঘটনা কী কী ঘটল, আবহাওয়ার পরিবর্তন, শরীরচর্চা সব।
কখন মাথা ধরা শুরু হয়, ঠিক কটায় ধরে কটায় ছেড়ে যায়,
তাহলে একে এড়ানো সম্ভব হবে নানা কৌশলে।
মাথাধরা সমাধান: স্ট্রেস মোকাবিলা
অনেকে মিগ্রেন ও টেনশন হেডেককে চাপ মোকাবিলার
কৌশল প্রয়োগ করে সামাল দেন। জীবনে চাপ সম্পূর্ণ
এড়ানো যায় না, তবে এর মুখোমুখি হলে সামাল দেওয়ার
কৌশল জানা যায়। ধ্যানচর্চা ও ম্যাসাজ অনেক সময়
কার্যকর হতে পারে।
পা দুটো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নিন
মাঝারি ব্যায়াম চাপ কমানোর বড় কৌশল। হাঁটা বড়
ভালো ব্যায়াম। টেনশন হেডেক রোধে বেশ ফলপ্রসূ।
হাঁটার সময় হাত দুটো দুলুনি ঘাড় ও কাঁধের পেশি রিলাক্স
করে।
নিয়মিত আহার
নিয়মিত আহার করলে, দিনজুড়ে সুষম খাবার রক্তের সুগারও
রাখে সুমিত। ক্ষুধার কারণে মাথা ধরবে না তাহলে।
প্রোটিন ও জটিল শ্বেতসারের সমন্বয়ে খাবার চিকেনের
ঝোল ও ভাত বা মাছ।
বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪
প্যারাসিটামল খান তবে বেশি নয়
প্যারাসিটামল অতি পরিচিত একটি ওষুধ। জ্বর কমানোর
গুণ থাকায় এর পরিচিতি ব্যাপক। বেদনানাশক, জ্বর
উপশমক হিসেবে প্যারাসিটামল বেশ কার্যকর
এবং নিরাপদ বলে আমাদের
দেশে ওষুধটি ব্যাপকভাবে ব্যবহƒত হয়ে থাকে। কিন্তু
অনেকেই জানে না, এ ওষুধের অধিক
ব্যবহারে বা অপব্যবহারে দেহের কি ক্ষতি হয়?
প্যারাসিটামল মাথাব্যথা, জ্বর, মাইগ্রেন, দাঁতে ব্যথা,
মাংসের ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত
সেবনে লিভারের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এমনকি গ্যাস্টিকের সমস্যাও দেখা দেয়।
সম্প্রতি আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস
প্যারাসিটামলের সঙ্গে কডিন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন
করতে বলেছে। কারণ, এতে মৃত্যুর আশঙ্কা আরও
বেড়ে যায়। কিছু বিজ্ঞানীর ভাষ্য হলো,
প্যারাসিটামলের সঙ্গে ক্যাফেইন গ্রহণ
শরীরে বিষাক্ততার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে লিভার
ড্যামেজ করে দেয়। ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি ভাবা হতো যে,
গর্ভবতী মায়ের জন্য প্যারাসিটামল নিরাপদ। এখন
বলা হচ্ছে নিরাপদ নয়।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ফার্মাকলজিতে গবেষকরা প্রকাশ
করেছেন, প্যারাসিটামলের কারণে সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্র
িয়া ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার লক্ষণগুলো অধিকাংশ
সময়; এমনকি ডাক্তারের নজরও এড়িয়ে যায়। কারণ
একসঙ্গে অনেক প্যারাসিটামল সেবন করলে রক্ত
পরীক্ষায় যে ধরনের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়, দীর্ঘদিন
ধরে সামান্য বেশি সেবনকারীদের রক্তে তা পরিলক্ষিত
হয় না। কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ এ ক্ষেত্রে বেশি।
স্কটিশ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট
বিভাগের একটি গবেষণায় ড. কেনিথ সিম্পসন
দেখিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল
সেবনকারীদের লিভার ও ব্রেনের ড্যামেজ হওয়ার হার
অত্যধিক বেশি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন
হলে তাদের ডায়ালাইসিস ও ক্ষেত্রবিশেষে কৃত্রিম
শ্বাসপ্রশ্বাস দিতে হয়। প্যারাসিটামল যেসব
ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় তা হলো, গর্ভাবস্থা,
শিশুকে বুকের দুধ দেন এমন মায়েরা, রক্ত পাতলা করার
অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকলে, গ্যাস্ট্রিক
বা আলসার থাকলে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সব ওষুধেই থাকে, তারপরও রোগমুক্ত
থাকতে ওষুধ তো গ্রহণ করতেই হবে। সবাইকে পরিমিত
পরিমাণে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য
প্যারাসিটামলের ডোজ ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট
একটি, কখনও প্রয়োজনে ২টি, তবে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০০
মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না। শিশুদের
ক্ষেত্রে বয়স এবং ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ
দিতে হবে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন পরামর্শ
দিয়েছে যদি শিশুর জ্বর ১০১.৩ ফারেনহাইটের
বেশি থাকে, তবেই প্যারাসিটামল সেবন
করা যেতে পারে । -ডা. সুপ্রিয়া রায়
রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৪
চিকিত্সা করলে ৭ দিন, না করলে ১ সপ্তাহ !
শীতের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে প্রথমেই চলে আসে সাধারণ
ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশির কথা বা কমন কোল্ডের কথা।
শীতের শুরুতে এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ রোগের
শুরুতে গলা ব্যথা করে, গলায় খুশ খুশ ভাব ও
শুকনা কাশি দেখা দেয়। নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাক
দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে।
হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ
করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। এটা মূলত
শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশের রোগ এবং সৌভাগ্য হল এই
রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর
ভাষায়, চিকিত্সা করলে ৭ দিন, না করলে ১ সপ্তাহ।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাঁশি কয়েক সপ্তাহ
থাকতে পারে।
যদি প্রতিরোধের চেষ্টা সত্ত্বেও সর্দি-
কাশি দেখা দেয়, তবু প্রতিরোধের
উপায়গুলো চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক
খাবারের পাশাপাশি প্যারাসিটামল
এবং এন্টিহিসটামিন জাতীয় ওষুধ খেলেই যথেষ্ঠ। এটা শুধু
রোগের তীব্রতাকে কমাবে না, রোগের বিস্তারও
কমাবে। প্রয়োজনে চিকিত্সকের শরণাপন্ন
হতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
পাশাপাশি দেশজ ওষুধ যেমন- মধু, আদা, তুলসীপাতা,
কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গকে কমাতে সাহায্য
করবে।
শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৪
সকালে খালি পেটে পানি পান সম্পর্কিত
সকালে খালি পেটে পানি পান
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই খালি পেটে পানি পান
করে থাকেন। কিন্তু এই পানি পান করা কি আসলেই
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ভালো হলে কেন ভালো?
কীভাবে উপকার পাওয়া যায় সকালে পানি পান করলে?
আর কতটুকুই বা পানি পান করতে হবে?
চিকিৎসকদের মতে সকালে ঘুম
থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য
ভাল। প্রতিদিন সকালে অন্তত দুই থেকে চার গ্লাস
পানি খাওয়া উচিত। প্রথম দিকে এটা অনেক
বেশি মনে হলেও কিছুদিন
এভাবে পানি খেলে বিষয়টি সহজেই আয়ত্ত
হয়ে যাবে এবং উপকারিতাও টের পাওয়া যায়।
তবে সকালে পানি খাওয়ার পর অল্প কিছুক্ষণ অন্য কিছু
না খাওয়াই ভাল। এ উপায়ের কোন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভীষণ
উপকারী।
কিন্তু কীভাবে উপকারে আসে এবং এর সুফল
কীভাবে পাওয়া যায়?
অল্প কিছু বিষয় মেনে চললেই
সকালে খালি পেটে পানি খেয়ে সুস্থ থাকার
পথে একধাপ এগিয়ে থাকা যায়।
সকালে খালি পেটে পানি কেবল পাকস্থলী পরিষ্কারই
নয়, আমাদের বিভিন্ন রোগের
ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
প্রথমত, এ অভ্যাস মলাশয়কে ঠিকঠাক ও সচল
রাখতে সাহায্য করে। পরিপাক ক্রিয়া থেকে সঠিক
ভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে।
ভাল হজমশক্তি আপনা থেকেই অনেক স্বাস্থ্য
সমস্যা সমাধানে উপকারে আসে। ফলে ওজনও
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত পানি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখে। রক্ত
থেকে টক্সিন ও বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর
করতে সাহায্য করে। শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়
এটি। এছাড়াও পানি নতুন রক্তকোষ এবং মাংস
পেশী তৈরির প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে।
মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪
সুইসাইড
জাপানে "সি অফ ট্রি" নামে একটি বন আছে... যেখানে কিছুদূর
হাঁটলেই দেখতে পাবেন গাছ গুলোর ডালে মানুষের কঙ্কাল
ঝুলছে ...
প্রতি বছর এখানে প্রচুর মানুষ সুইসাইড করতে আসে... কেউ কেউ
অনেক দূর দেশ থেকে টাকা খরচ করে মরতে আসে। মানুষ
নিরিবিলিতে মারা যেতে পছন্দ করে।
মৃত্যুর জন্য এই জায়গাটি বেছে নেয় কেন জানেন? যেন কেউ
কখনো খুঁজে না পায়... মানুষ বড় অভিমানী প্রাণী...
মনোবিজ্ঞানীরা এখন আমাদের বলছে প্রতিটি সুইসাইডের
রক্তে তিনটি জিনিস মিশে থাকে... ১- অভিমান ২ – হতাশা ৩–
আত্মবিশ্বাসের অভাব...
......পুলিশ সদর দপ্তরের হিসেব
অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর সুইসাইড করছে প্রায় দশ
হাজার ! অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ২৭ জন !! এই টুকু
একটা দেশে প্রতি ঘণ্টায় ১ জনের বেশি সুইসাইড করছে !!! এত
অভিমানী কেন আমরা ?
একজন মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস করলেন। ফেরার সময়
মেয়ের জন্য জ্যামিতি বক্স কিনে আনলেন। রাতে খাবার
খেয়ে নাটক দেখলেন। ঘুমানোর আগে স্ত্রীর সাথে ছোট খাট
ঝগড়া হল। ঘণ্টা খানেক পর বিষ খেয়ে ফ্লোরে পরে আছে ...
......এই ব্যাপার গুলো কেন ঘটে ? মানুষ সাধারণত একটি বিশেষ
ঘটনায় সুইসাইড করে না। এই রোগটি সে তার ভেতরে অনেক দিন
থেকে লালন করে।
.....মানুষের অনুভূতি অনেক বেশি...মানুষ আত্মহত্যা করে...
পাখিরা কেন করে ? প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ভারতের
একটি বিশেষ জায়গায় এক সাথে অনেক পাখি দলবদ্ধ
ভাবে সুইসাইড করে। এর ব্যাখ্যা কী আমি জানি না।
.....একজন আমাকে বলেছে , সেখানে এক সময় পাখিদের খাবার
ফুরিয়ে আসে... বাচ্চা পাখি গুলোকে বাঁচার সুযোগ
করে দিতেই বৃদ্ধ পাখিরা দলবদ্ধ ভাবে আত্মহত্যা করে।
এ নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা গল্প লিখেছিলাম।
গল্পটি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত
একটি পাখি কে নিয়ে। মারাত্মক সব ডিলিউশন কী শুধু মানুষের
ক্ষেত্রেই হয় ?
স্কটল্যান্ডের ‘ ওভার টাউন’ ব্রীজের রহস্য কী ? প্রতি বছর শত
শত কুকুর এখানে এসে আত্মহত্যা করছে। তারা ব্রীজ
থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ছে... এই নিয়ে যথেষ্ট
গবেষণা হয়েছে... নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না...
কুকুর কিংবা পাখিদের অভিমান- হতাশা বলে কিছু থাকতেই
পারে... এই নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নাই।
আমার চিন্তা মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে... এরা চাইলে এই
পৃথিবী ছিদ্র করে ছিদ্রের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে অন্য
পৃথিবীতে চলে যেতে পারে... এরা কষ্টকে কেমিস্ট্রির
বোতলে ঢুকিয়ে ল্যাবে গিয়ে গবেষণা করতে পারে...
.....
এরা বিশাল সাইজের হাতি দিয়ে সার্কাস খেলে... অজগর সাপ
হাতে নিয়া ঘুরে বেড়ায়..... মানুষের মত দেখতে রোবট মানুষ
বানায় !
যে রোবটের ভেতর ইমোশন থাকবে... ! কী আশ্চর্য !
প্রতিটা মানুষই একজন বিজ্ঞানী...আপনি চাইলেই দেখবেন
ক্ষুদ্র কিছু হলেও সৃষ্টি করতে পারবেন...
.....প্রতিটি মানুষ একজন লেখক...একজন গায়ক... একজন কবি...
একজন নেতা...( দেখবেন কেউ কেউ আছে যারা আপনার
প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মানছে ) ... একজন শিক্ষক একজন
সেবক ... আর... একজন অপ্রতিষ্ঠিত মেধাবী...
এই পৃথিবীতে আপনার উপস্থিতি আপনার মস্তিস্কের ব্যাবহার
অনেক বেশি প্রয়োজন...সেটা ব্যাবহার করুন...
.....অভিমান করে চলে যাবার জন্য আপনার জন্ম হয় নি...
সব থেকে বড় ব্যাপার কী জানেন ? একজন ধর্ষক , একজন মাতাল ,
ঘুষখোর , বেশ্যা এরা প্রত্যেকেই প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ
পাবে... ; আত্মহত্যা আপনাকে প্রায়শ্চিত্ত করার কোন সুযোগ
দিবে না...
হলদেটে দাঁত নিয়ে বিড়ম্বনাঃ
হলদেটে দাঁত কারই বা ভালো লাগে? ঝকঝকে সুন্দর
হাসি সকলেই পেতে চায়। আর তার জন্য চাই
ঝকঝকে সাদা দাঁত। কিন্তু দূষণ, আয়রন, ধূমপান, দাঁতের
সঠিক যত্নের অভাব ইত্যাদির কারণে দাঁত তার
ঝকঝকে সাদা রং হারাতে থাকে আর হয়ে পড়ে হলদেটে।
অনেক সময় দাঁতে পড়ে ছোপ ছোপ দাগ। দাঁত
সাদা করতে বা দাঁতের দাগ তুলতে অনেকেই শরণাপন্ন হন
ডাক্তারের। কিন্তু তা বেশ খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। অথচ
আপনার ঘরেই থাকে এমন কিছু উপাদান, যা আপনার দাঁত
সাদা রাখতে সাহায্য করবে। জেনে নিন দাঁত
সাদা রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।
১. ফলঃ
ফল বিশেষ করে আপেল
এবং স্ট্রবেরিতে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড যা দাঁত
সাদা করার একটি চমত্কার প্রাকৃতিক উপাদান। নিয়মিত
ফল খেলে দাঁতে সহজে দাগ পড়ে না বা হলদেটে হয় না।
২. সবজিঃ
গাজর, সবুজ শাক এবং ব্রকোলির মতো সবজি দাঁত
থেকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সালাদে গাজর খান
নিয়মিত। এতে যেমন দাঁত ভালো থাকবে, তেমনি গাজর
থেকে পাবেন প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন তথা ভিটামিন
এ, যা আপনার চোখ, ত্বক ও চুল রাখবে সুস্থ।
৩. শুকনো ফলঃ
ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফল যেমন কিশমিশ দাঁত
সাদা রাখতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি চিনি ছাড়া চুয়িংগাম দাঁতের দাগ দূর করার
একটি চমত্কার উপায়।
৪. দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারঃ
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁতের জন্য খুবই জরুরি।
এছাড়া দুগ্ধজাত খাবার, যেমন দই এবং পনির দাঁতের
এনামেল বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪
ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণঃ
১. ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণই হলো শ্বাসকষ্ট।
যাদেরই এই রোগ হয় তারাই শুরুতে
বলেন, শ্বাস নিতে গিয়ে যেন বাতাসের অভাব বোধ
করছেন। অনেকে বিষয়টাকে হাঁপানির
সাথে গুলিয়ে ফেলেন!
২. কাশি আর ব্রঙ্কাইটিস- দুটিই লাং ক্যান্সার আর
লিউকেমিয়ার কমন ‘ফ্যাক্টর’। আবার সাধারণ
ব্রঙ্কাইটিস হলেও কাশি আর বুকে ব্যথা হয়। পার্থক্য
বুঝবেন কী করে? ব্রঙ্কাইটিসের কাশি আর
বুকে ব্যথা চিকিৎসায় সেরে যায়। যখনই তা সারে না,
বুঝবেন ব্যাপারটা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে।
৩. লিউকোমিয়ায় রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ
অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় শরীর চট
করে সংক্রমণজনিত রোগে কাবু হয়ে পড়ে। যেমন, জ্বর, ফ্লু
বারবার হতে থাকে।
৪. খাবার গিলতে অসুবিধা হচ্ছে? লক্ষণটা সার্ভাইকাল
বা লাং ক্যান্সারের প্রথম ধাপ হলেও হতে পারে।
৫. শরীরের কোথাও আচমকা গ্ল্যান্ড
ফুলে যাওয়া লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম পরিবর্তনের ইঙ্গিত
দেয়। এটা ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ হতেও পারে। যেমন
বগলের নিচে ব্যথাযুক্ত গ্ল্যান্ড দেখা দিলে ব্রেস্ট
ক্যান্সার,
কুঁচকি বা ঘাড়ে এরকমটা হলে লিউকেমিয়া হওয়ার
আশঙ্কা তৈরি হয়।
৬. কোনো আঘাত ছাড়াই
শরীরে কালশিরা বা কালশিটে দাগ
দেখা দেয়া লিউকেমিয়া-কেই মনে করায়।
সেইসঙ্গে মুখে, ঘাড়ে, বুকে লাল স্পট দেখা দিলে খুব
সহজভাবে নেবেন না ব্যাপারটাকে।
৭. পেটে ঘিনঘিনে ব্যথা মানেই ‘সিস্ট’
হয়েছে ভেবে উড়িয়ে দেবেন না। এই
ব্যথা যেকোনো ধরনের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
হতে পারে।
৮. রেক্টাম দিয়ে বা মলের সঙ্গে রক্তপাত সাধারণত
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ। তাই এরকম কিছু
হলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৯. ডায়েটিং বা শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন
কমে যাওয়া কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ নয় তো! কারণ, এই
রোগে খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। ফলে বিনা কারণে ওজন
কমতে থাকে।
১০. আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ নখের রং পাল্টে যাওয়া।
অনেক রকমের ক্যান্সারেরই এটা প্রাথমিক লক্ষণ। যেমন,
নখে বাদামি বা কালো রেখা বা ছিটে দাগ ত্বকের
ক্যান্সারের কথাই বলে। আবার নখের রং বিবর্ণ
হলে বুঝতে হবে লিভার ঠিকঠাক কাজ করছে না।
এটা লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ l
মেদহীন পেট পাবার ৩টি ব্যায়ামঃ-
মাত্র তিনটি সহজ ব্যায়ামেই
পেটের মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
শিখে নিন পেটের মেদ কমানোর সহজ ৩টি ব্যায়াম।
.
By--বিমূর্ত শাকির,
.
১) সাইকেল চালানো ব্যায়ামঃ-
এটা আসলে সত্যিকারি সাইকেল চালিয়ে ব্যায়াম
করা নয়। এই
ব্যায়ামটি করতে হলে আপনাকে
প্রথমে মেঝেতে শুয়ে পড়তে হবে।
এরপরে হাত দুটোকে মাথার
পিছনে নিতে হবে। এখন সাইকেল
যেভাবে পা দিয়ে প্যাডেল ঘুরিয়ে চালানো হয় ঠিক
তেমনি পা দুটোকে উপরে
উঠিয়ে সাইকেল চালান।
এক্ষেত্রে পা দুটোকে ৪৫
ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উপরে
উঠিয়ে নিতে হবে। একটি পা যখন বুকের
উপরে আসবে তখন
আরেকটি পা মোজা উপরের
দিকে উঠানো থাকবে।
এভাবে রিভার্স
করে ব্যায়ামটি আধা ঘন্টা করতে হবে।
সপ্তাহে ৩ দিন এই
ব্যায়ামটি করলেই আপনি খুব
সহজেই পেতে পারেন
একটি মেদহীন
আকর্ষণীয় পেট। .
২) নৌকাসন ব্যায়ামঃ- নৌকাসন
ব্যায়ামটির সাথে নিশ্চয়ই
অনেকে পরিচিত। এটি সত্যিকার
অর্থে নৌকা চালানো নয়। এরজন্য
আপনাকে শুয়ে পড়তে হবে। হাত দুটোকে মাথার
উপরে সোজা করে ছড়িয়ে দিতে হবে।
পা দুটোকেও
সোজা ছড়িয়ে দিতে হবে।
এরপরে হাত পাগুলোকে
একইসাথে ৪৫ ডিগ্রি উঁচুতে তুলতে হবে আবার
তা নামিয়ে সোজা করতে হবে। হাত
পাগুলোকে যখন উপরে উঠাবেন
এটি দেখতে যেন অর্ধ চন্দ্রের
ন্যায়
হয়। এই ব্যায়ামে আপনার ভুঁড়ির উপরে চাপ পড়বে ফলে
আপনার পেট কমে যাবে।
.
৩) উঠাবসা ব্যায়ামঃ- পেটের
অতিরিক্ত
ভুঁড়ি কমিয়ে নিতে আপনি এই উঠাবসার ব্যায়ামটিও
করতে পারেন।
এটি খুবই সহজ একটি ব্যায়াম।
আপনি শুধু প্রতিদিন গুণে
গুণে ৫০
বার বসা এবং উঠা করুন। এতে পেটে চাপ পড়ে ফ্যাট
কমে যাবে।
পাশাপাশি আরেকটি ব্যায়াম
করা যেতে পারে সেটি হল
দুটি হাত
মাথার পিছনে দিয়ে শুয়ে কোমরের উপরের অংশটুকু
বারবার ৯০
ডিগ্রি উঠিয়ে বসুন আবার
শুয়ে পড়েন। এভাবে সপ্তাহে ৩ দিন
৪০ বার
করে করলে আপনি পেতে পারেন
একটি মেদহীন আকর্ষণীয় পেট।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা কমাতে কিছুতথ্য
সাধারন মাথাব্যথাকে এক করে ভাবেন। সাধারন
দৃষ্টিকোনে দুটোই একই রোগ মনে হলেও এদের উৎস ও
উপসর্গ আলাদা। অনেকেই দীর্ঘ দিন
মাথাব্যথা থাকলে তাকে মাইগ্রেন ভাবেন। অবশ্য
মাইগ্রেন এমন একটি রোগ যা দীর্ঘদিন
রোগীকে অসম্ভব যন্ত্রণা দিয়ে থাকে।
মাথাব্যথা নিরাময় যোগ্য রোগ অপরদিকে মাইগ্রেন
স্থায়ী ভাবে নিরাময় করা যায়না। সাময়িক ব্যথার
পরিমান কমান যায়। চলুন আমরা মাথাব্যথা ও
মাইগ্রেন কি, কেন হয়,
এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়া জেনে নি।
মাথাব্যথাঃ সাধারনত নার্ভ সিস্টেমের সমস্যার
কারনে সৃষ্ট একটি রোগ মাথাব্যথা। মাথাব্যথা সব
বয়সের মানুষের হতে পারে। কারো কম কারো বেশি।
জীবনে একবারও মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক
পাওয়া যাবেনা। ব্রেনের ভেতরে ব্যথা তৈরির
ইনফ্লামেটরি রস স্নায়ুতন্ত্র এবং মাথার
রক্তনালীকার চারপাশে নিঃসৃত হয়,
ফলে মাথাব্যথা হয়। এই রস নিঃসৃত হওয়ার
ফলে মাথার যেকোনো একদিকে নির্দিষ্ট সময় পর পর
মাথাব্যথা হতে পারে। এছারা পানিসল্পতার
কারনেও মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথার অন্য
একটি কারন হোল টেনশান বা দুশ্চিন্তা। সাধারণত
৭০% মাথাব্যথা দুশ্চিন্তার কারনেই হয়ে থাকে।
এধরনের মাথাব্যথা কিছুক্ষণ পর এমনিই ভাল
হয়ে যায়। আরেক ধরনের মাথাব্যথার উৎস হল ঘাড়
থেকে উৎপত্তি হওয়া নার্ভ। সাধারণত ঘাড়
থেকে উৎপত্তি হওয়া ৮ টি নার্ভের মধ্যে প্রথম ৩
টি তে যদি কোন রকম চাপের সৃষ্টি হয়, তাহলে সৃষ্ট
ব্যথা মাথার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের ব্যথার
ক্ষেত্রে ঘাড়ে ও ব্যথা থাকতে পারে। সেই
সাথে ঘাড় বিভিন্ন দিকে নাড়ালে মাথা ব্যথার
তারতম্য ও ঘটতে পারে। ঘাড়ের নার্ভে অনেক সময়
চাপের সৃষ্টি হয়। আমাদের মেরুদণ্ডের মাঝখান
দিয়ে মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত স্নায়ু রজ্জু
বা স্পাইনাল কর্ড নেমে আসে। এই স্পাইনাল কর্ড
মস্তিস্ক থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা বিভিন্ন
শাখা নার্ভের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন
অংশে পরিবহন করে, আবার শরীরের বিভিন্ন তথ্য ও
অসুবিধার কথা মস্তিস্কে পৌঁছে দেয়। স্পাইনাল কর্ড
থেকে তৈরি হওয়া এই শাখা নার্ভ গুলোকেই বলা হয়
স্পাইনাল নার্ভ। ঘাড় থেকে এই স্পাইনাল নার্ভ যখন
বের হয়, তা মেরুদণ্ডের বিভিন্ন জটিল কাঠামো ভেদ
করে বাইরে বের হয়ে আসে। এই বের হয়ে আসার সময়
মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অংশের (যেমন ডিস্ক,
লিগামেন্ট, মাসেল) সাথে চাপের জন্য ব্যথার
উৎপত্তি হয়। এখন ঘাড় থেকে উৎপত্তি হওয়া ৮
টি নার্ভের মধ্যে প্রথম ৩ টি তে যদি এই ধরনের
চাপের সৃষ্টি হয় আর এই ৩ টি নার্ভ যেহেতু মাথার
দিকে যায়, তাই এগুলোতে সৃষ্ট সমস্যার জন্য
আমরা মাথায় ব্যথা অনুভব করি। বাস, রিকশায়
ঝাঁকুনির এবং বয়সের জন্য মেরুদণ্ডের হাড়
ক্ষয়ে গিয়ে, অথবা অবাঞ্ছিত
ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নার্ভে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
আবার অনেকের দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ল্যাপটপ
ব্যাবহার করেন ফলে ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডে চাপ পরে যার
ফল হিসেবে মাথাব্যথা হতে পারে।
মাথাব্যথার চিকিৎসাঃ যেহেতু মানুষের
শরীরে পানিশূন্যতা মাথাব্যথার একটি কারন তাই
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
তবে অ্যালকোহল বা কফি জাতীয় পানীয় পান
পরিহার করতে হবে। কারণ এগুলোও
দেহে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। ভেষজ চা মানুষের
মাথাব্যথার আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
নিয়মিত হাঁটাচলা, দৌড়ানো বা সাঁতার
কাটলে মানুষের দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
ফলে মানুষের মস্তিষ্কেও রক্ত জমাট বাঁধার
সম্ভাবনা থাকে না। এতে মাথাব্যথা হওয়ার
আশঙ্কা কমে যায়। তাই মাথাব্যথা এড়াতে আপনার
প্রতিদিনের রুটিনে থাকতে হবে শারীরিক ব্যায়াম।
মাথার ব্যথা যদি অসহনীয়
হয়ে ওঠে তবে একটি তোয়ালে ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়
পর পর তা কপালে ও
ঘাড়ে আলতো করে ছোঁয়াতে পারেন। এটিও মাথার
ব্যথা কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কাজের
চাপে কমিয়ে পরিমিত ঘুমাতে হবে। মাথার
ব্যথা যদি তীব্র হয়, তবে ম্যাগনেসিয়াম ও
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।
মাইগ্রেনঃ হঠাৎ অসহ্য মাথাব্যথার অন্য নাম
মাইগ্রেন। দৈনন্দিন জীবনে যেসব অসুখ মুহূর্তের
মধ্যে সুখ কেড়ে নিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম
মাথাব্যথা। এই যন্ত্রণা খুব সহজেই আপনার
কর্মচাঞ্চল্য কিংবা উচ্ছলতাকে বাধাগ্রস্ত
করে মুহূর্তের মধ্যে স্থবির করে ফেলতে পারে।
মাইগ্রেন চিরতরে নির্মূল করা যায় না, চিকিৎসায়
এর প্রকোপ কমিয়ে বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এটি বংশগত হতে পারে। এটি পুরুষ
অপেক্ষা মহিলাদের বেশি হয়। দুশ্চিন্তা ও
মাসিকের সময় এটি বেশি হয়। দুশ্চিন্তা, মানসিক
চাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগকে ত্বরান্বিত করে।
মাইগ্রেন সাধারণত মাথার এক পাশের একটি স্থান
থেকে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সেই পাশের
পুরো স্থানেই বিস্তৃত হয়। প্রচন্ড মাথাব্যথার
সঙ্গে সঙ্গে রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম এবং বমির ভাব
থাকতে পারে। সাধারণত রক্তে সেরোটোনিন
অথবা ফাইভ এইচটির মাত্রা পরিবর্তিত
হলে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়।
মস্তিষ্কের
বহিরাবরণে যে ধমনীগুলো আছে সেগুলো মাইগ্রেন
শুরুর প্রারম্ভে ফুলে যায় তাই
মাথাব্যথা তীব্রতা ব্যাপক হয়। মাথাব্যথা শুরু
হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি দুই/তিন দিন পর্যন্ত
স্থায়ী হতে পারে। এটি রোগীকে দুর্বল
এবং বিপর্যস্ত করে ফেলে। মাইগ্রেনের কয়েকটি ধরন
আছে। তার একটি ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন।
ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেনের শুরুটা অধিকাংশ সময়েই
রোগী বুঝতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর
দৃষ্টিবিভ্রম হয়। রোগী চোখের সামনে আলোর
ঝলকানি, চোখে সর্ষে ফুল দেখে। হাত-পা, মুখের
চারপাশে ঝিনঝিনে অনুভূতি হয়। শরীরের এক
পাশে দুর্বলতা বা অবশভাব হতে পারে। এরপর শুরু হয়
মাথাব্যথা, যা মাথার একপাশের একটি স্থান
থেকে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সেই পাশের
পুরো স্থানেই বিস্তৃত হয়। প্রচণ্ড
দপদপে ব্যথা রোগীকে কাহিল করে ফেলে। রোগীর
প্রচুর ঘাম হয়। বমি কিংবা বমি ভাব হয়।
আলো এবং শব্দ একদম সহ্য করতে পারে না।
কথা বলতেও অনিচ্ছা প্রকাশ করে, মেজাজ
খিটখিটে হয়ে থাকে। চুপচাপ অন্ধকার ঘরে থাকতেই
রোগী বেশি পছন্দ করে।
মাইগ্রেনের চিকিৎসাঃ আগেই বলেছি মাইগ্রেন
একেবারে নিরাময় সম্ভব নয় তবে বিভিন্ন ওষুধের
মাধ্যমে মাইগ্রেন কমিয়ে আনা যায়। আজকাল
মাইগ্রেনের নানারকম চিকিৎসা আছে। চিকিৎসার
প্রক্রিয়া দুটি। প্রথমত তাৎক্ষণিক
মাথাব্যথা কমানো এবং দ্বিতীয়ত মাথাব্যথার
প্রকোপ কমিয়ে আনা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা। উভয়
লক্ষ্য অর্জনে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। ওষুধও বিভিন্ন
ধরনের আছে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে সঠিক
পদ্ধতি গ্রহন করা উচিত।
সূত্রঃ বাংলা নিউজ২৪.com